পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১১

ফ্রি ট্রানজ়িট-বাংলাদেশের ভবিষ্যত এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা



রাখ রাখ ঢাক ঢাক করে কোন ভাবেই আর ট্রানজিট চেপে রাখা গেল না। দিনের আলোর মত পরিস্কার হয়ে গেল দেশের বাকি রুট গুলোর ভবিষ্যত। শুধু আমার মত অধমের বোধগম্য হল না সরকারের অতি আগ্রহ এবং বিরোধীদের অতি নিরবতার কারন, অনেক গুলো কিন্তু জমা হয়ে গেলো জাতির মগজে, অবশ্য খুব বেশিদিন হয়ত অপেক্ষা করতে হবে না, ভারত নামের এই দানব প্রতেবশিটি নিজেই তার মুখশ খুলে ধরবে আমাদের সামনে।
আমাদের আর অপেক্ষা করতে হবে না আমাদের দেশপ্রেমি! সরকার বা বিরোধী দলের সুস্পস্ট ব্যক্ষ্যার জন্য। আমরা জাতি যতই দরিদ্র কিনবা অশিক্ষিত হই না কেন এটা আমাদের সকলের বধোগম্য যে ভারতের মত একটি শক্তিশালী প্রতিবেশির পাশে বসবাস সহজ বা সুখকর নয় যেমনটা নয় রাশিয়ার পাশে ইউক্রেন বা জর্জিয়ার কিংবা চীন এর পাশে তাইওয়ান এর মত, তাই বলে আমরা কেন "ভাসুরের কাছে বিধবার আত্মসমর্পন" (দুঃখিত অন্য উদাহরন খুজে পেলাম না) করার মত নিরবে সব কিছু মেনে নেব? আমাদের কিসের ভয়? কিংবা কি সার্থলব্ধি হচ্ছে আমাদের? আমাদের কি দরাদরি করার মত কোন বিষয় ছিলো না? ফি হিসাবে নগদ টাকা যদি না পাওয়া যায়, ফারাক্কার ১০ টা গেট চিরকালের মত খুলে দেয়ার চুক্তি কি করা যেত না ট্রানজিট এর বিনিময়ে? আমি বিশ্বাস করিনা যে আমদের ডালভাত খাওয়া সরকারের সংশ্লিস্ট ব্যক্তিবর্গ এসব কিছু বোঝেন না বরং উলটাটা হওয়ায় স্বাভাবিক উনারা যেহেতু ডালভাত এর সাথে একটু ভালোমন্দ জনগনের থেকে বেশী খান, তাই উনারা জনগনের থেকে বেশী বুঝবেন সেটায় স্বাভাবিক। কিনতু জনগনের সাথে এই লুকোচুরি খেলা কেন? বলেছিলাম "ভাসুরের কাছে বিধবার আত্মসমর্পন" এখন আবার ভাবতেছি উলটা হইছে নাকি? বিধবা কি নিজেই ভাসুরকে চেপে ধরেছে? তাই যদি হয় তাহলে কারন কি? ভাসুর যে গোপনে টাকা দেয় নায় সেটা পরিষ্কার, কৃপন হিসাবে ভাসুরের আন্তরজাতিক সুনাম আছে। তাহলে কি ২১শে আগষ্ট বা সেই রকম কিছু ভাসুরের হাতের কাজ? নানা কথা মনে আসে ভাই, আমার দোষ কোথায়? আমি সাধারন মানুষ আর আমাকে রাখা হয়েছে অন্ধকারে তাই আমি ভাবছি আমার মত করে।
আওয়ামী বিএনপি বুঝি না, সরকার এবং বিরোধী দল উভয়ের কাছে আমার দাবি আতিসত্ত্বর সংবাদ সম্মেলন করে সঠিক ব্যক্ষ্যা বা তথ্য জনগনের সামনে তুলে ধরা হোক। বিনি পয়সায় ট্রানজিট দিলে জনগনের কি লাভ সেটা বোকা জনগন জানতে চায়, আর লাভ না থাকলে কিসের ভয়ে ট্রানজিট দেওয়া হলো? এতসব নতুন নতুন উড়োজাহাজ কিনছেন আগে, আরো কিনা হচ্ছে, ওই গুলো কাজে লাগা্নো দরকার এবার। আর উড়োজাহাজে যদি কাজ় না হয় (আরেক ভাসুরের দেওয়া বাতিল মাল) তাহলে লগি-বৈঠা কম নায় এখনও, মানুষ আর একবার যুদ্ধ করতে পারবে তাতে ভুল নাই কোন, সব কিসুর সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
আমি কখনই ট্রনজিট এর বিপক্ষে নই, ট্রানজিট বর্তমান সভ্যতার একটি ধারা এবং পৃথিবীর বহু দেশ সত্য সত্য উপকৃ্ত হয়েছে ট্রানজি্ট থেকে। কিন্তু ভারতকে যেভাবে ট্রানজিট দেওয়া হলো তা রাস্ট্রীয় বেশ্যাবৃত্তির সমতুল্য- বাকিতে বেশ্যাবৃত্তি, ভবিষ্যতে রক্ষিতা হবার আশায়। চুক্তিতে নিরাপত্তার ভার দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশকে, পুলিশ যে পেট্রোল ডিউটি করবে তার ব্যয় বহন করবে কে? পুলিশ যদি কদাচিত ব্যরথ্ হয় ভারত কি চাইবে না নিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কায়েম করতে? তখন ভাসুরকে ঠেকাবে কে? চুক্তি বাতিল করার কি কোন ব্যবস্থা আছে? উড়ুজাহাজ কি কোন কাজে দিবে চুকতি বাতিল করার দরকার হলে? আজকে ত্রিপুরায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিরমানের জন্য ভারতের ট্রানজিট দরকার হলো কালকে আসামে সারকারখানা নিরমানের জন্য ট্রানজিট দরকার হবে তখন কি ভারত ট্রানজিট ফি দিতে রাজী হবে? বেশ্যার ফি নাগরের দরশন ত আগেই ঠিক হয়ে গেল। ভারত কি মাগনা কিছু দিয়েছে আমাদেরকে? নদিনালা খাল্-বিল সব শুকিয়ে গেছে, মরে গেছে। খরায় ভারত একফোটা পানি দেয় না, বন্যায় হাজার হাজার লাখ লাখ মানুষকে চরম বিপদের মুখে ফেলে ভারত তার নিজের আতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করে বাংলাদেশে। তাহলে কি জন্য আমরা ফ্রি ট্রানজিট দিব ভারতকে? স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতার দোহায় আসতে পারে কিনতু সেটা আর কতকাল? ভারত কি সহযোগিতার বিনিময়ে নিজে লাভবান নয়? সামরিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক তিন ভাবেই লাভবান হয়েছে ভারত আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে। 
ভারতের রাজনিতি বিদেশী শক্তির দ্বারা প্রভাবিত না কারন তারা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক আর সেই কারনেই তারা তর তর করে পেরিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের এক একটি করে সোপান, আজ তারা চরম উন্নতির দ্বারপ্রান্তে। ভারতীয়দের আতিরিক্ত আত্মকেন্দ্রিক দেশ প্রেমের কারনে তার প্রতিবেশিদের আজকের এই দুরবস্থা। বিশদ ব্যাক্ষার প্রয়জন আছে বলে আমি মনে করি না পাকিস্থান আর নেপালের দিকে একটু তাকিয়ে দেখেন। বাংলাদেশের অদুর অতিতের দিকে তাকিয়ে দেখেন একটু, যখনি প্রতেবেশি দেশ গুলোতে ভারতপন্থি সরকার না থাকে বা ভারতের স্বার্থ বিঘ্নিত হয় তখনি সেই দেশগুলতে দাঙ্গাবাজী জংগীবাজী চরম পরযায়ে চলে যায়। প্রতেবেশীর উন্নয়নে বাধ দেবার জন্য। সাবমেরিন কেবল চুরি হয়ে যায়। (কেও কি মনে করেন বাংলাদেশের কোন চোরের বা সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের সাগরের তলা থেকে কেবল চুরি করার ক্ষমতা আছে?)ভারতের অন্নান্য প্রতেবেশীর তুলনায় আইটি সেক্টরে বাংলাদেশের উন্নয়ন বেশি ঈরষনীয় ভারতের জন্য। ভারতের রাজনিতি হচ্ছে নিজে উপরে যাবে এবং প্রতিবেশিকে নিচে নামাবে, প্রতিবেশি যদি নিচে না থাকে দাদা বলে ডাকবে কে? আমেরিকানরা? চাইনিজরা? সে দিন আসতে আরো অনেক দেরি আছে। এই যদি হয় আপনার প্রবেশীর স্বরুপ তাহলে তার সাতে পাচে থাকার দরকার কি? দেশ চালাতে ভাসুর যদি লাগেই তাহলে চাচাত মামাত দুরের ভাসুর খোজা ভালো। দুরের ভাসুর অন্তত রোজ রোজ চাইপ্পা ধরবে না।
ক্ষমতায় আছেন বাঘ বিড়াল এর পিছনে না ঘুরে একটু দেশের দিকে মন দেন দয়াকরে। জনগন সত্যি আপনাদের কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করে আর আপনারা একটু সদিচ্ছা করলেই অনেক মঙ্গল করতে পারেন দেশের জন্য দশের জন্য। কলকারখানা করেন দেশে, ক্যাডারদের ছিনতায় রাহাজানি বাদ দিয়ে ব্যবসা বানিজ্য করতে শিখান না হয় বিদেশ পাঠায়ে দেন সব কয়টারে। (চাকরি ত আপাতত দিতে পারবেন না- করম খালি নায়)। ক্ষমতায় না যাইতে পারলে অনেক সময় পাবেন বাঘ বক্রি খেলনের।
বংগবন্ধু কন্যা অন্তর দিয়ে ডাক দিলে দেশের একশভাগ মানুষরে পাশে পাইবেন আপনি, বাংলাদেশের মানুষ বেঈমান না। ক্ষমতায় থাকার জন্য আপনার ভাসুরেরও দরকার নায়, ক্যাডারেরও দরকার নায়; মানুষের পাশে যান, সত্যপথে চেস্টা করেন একবার, বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে অমর করে রাখবে। অন্তর দিয়া মানুষের পাশে দাড়াণ আর একবার, আপনাকে মানু্ষের দরকার তারা বড় বিপদে আছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন