পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১১

এবার দেশ বিক্রয় নাটক, আজ বিক্রি হচ্ছে দেশ,কাল বিক্রি হবে আপনার বাড়ির চৌকাঠ


কাল দুপুরের দিকে আমার খালাত বোনের পাঠানো একটি দৈনিকের online পোস্ট পেলাম। পোস্ট টি খুলে একটি আঘাত পেলেও যা পড়লাম সেটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিলনা । বর্তমান সরকারের অতি ভারত প্রিতী দেখে অনেক আগেই সেটা আন্দাজ করতে পেরেছিলাম। দেশের অন্যতম একটি বিভাগ সিলেট। শুধু অর্থনৈতিক দিক ছারাও দেশের আর অনেক ক্ষেত্রে এই বিভাগটির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এদের মাঝে অন্যতম একটি বিষয় হচ্ছে সীমান্ত। যে কারনে বহুকাল জাবত ভারতের লোভী দৃষ্টি রয়েছে এই বিভাগটির উপরে। তবে তেমন শুজগ সুবিধা করে উঠতে পারেনি এতদিন। তবে "ঘরের শ্ত্রু যে বিভীষণ" এই কথাটা ভারত সরকারের বেশ ভালই জানা। এবার সেই মতে এদেশের "বিভীষণ" কে গদিতে দেখে আর কাল ক্ষেপণ করলনা ভারত। দফায় দফায় পররাষ্ট্র, স্বররাস্ট্র বৈঠক, ইন্দিরা গান্ধিকে পদক প্রদানের নামে সোনিয়া দিদী কে দেশে ডেকে এনে প্রধানমন্ত্রী কন্যার রাজনৈতিক যাত্রার সূচনা ইত্যাদি বেশ কিছু নাটক ইতিমধ্যে সম্পাদিত হয়েছে এই সরকার দ্বারা। অবশেষে দাদা-দীদী দের মনের সুপ্ত আশাটা পুরন করে ছারলেন প্রধানমন্ত্রী এবং তার সরকার। এখানে একটি ব্যাপার বলা বাহুল্য যে কয়েকদিন আগে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্যা ইকনোমিষ্ট এ আমাদের বর্তমান সরকার ও ভারতের "দেশ বানিজ্যের" উপরে কিছু কথা লেখা হয়েছিল। থলের বিড়াল বেরিয়ে গেল ভেবে সরকার তার সাধ্যমত গলা ঝেরেছে ঐ পত্রিকার বিরুদ্বে। কিন্তু বাস্তব সত্য এই যে ঐ পত্রিকায় যা লেখা হয়েছিল তার কোনটাই অসত্য নয়। বরং বলা যায় যে দেশ বিক্রি কার্যক্রমের ব্যাপারে হয়তো দ্যা ইকনোমিষ্ট অজ্ঞাত ছিল। তবে বাস্তবে এবার বাঙালি জাতি সেটাও দেখলো। ১৯৪৭ এ মুক্ত হয়েছে ব্রিটিশ দের হাত থেকে,১৯৭১ এ মুক্ত হল পাকিস্তান কে তারিয়ে। কিন্তু আজ নিজের ঘরে বসে স্বাধীনতার প্রলাপ বকে দেশকে বিক্রি করছে সরকার। 
কিছুকাল আগে সিমান্তে শান্তির জরিপ নামক আরেক নাটকের সূচনা করে দুই দেশের সরকার, এবার সেই শান্তির মূল উদ্দেশ্য প্রকাশ পেল, ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে আমাদের দেশের ২৬১ একর জমি। জানা যায় গত পরশুদিন কয়েকদফায় পদুয়া সীমান্তের ১২৭০-৭১ নম্বর সীমান্ত খুঁটি পর্যন্ত ২২০ একর, লিঙ্কহাট সীমান্তে ১২৬৩-৬৭ পর্যন্ত ৮ একর,নলজুরী সীমান্তে ১২৭৭-৭৯ পর্যন্ত ৩৩ একর ভূমি ভারতকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ১৫০ গজ ভেতরে বাঁশের খুঁটি বসিয়ে এই জমি ভারতের বলে চিহ্নিত করে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এরই মধ্যে ম্যাপও পরিবর্তন করে ফেলা হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে আগামী মাশে প্রধান্মন্ত্রীর বড় দাদা অর্থাৎ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফরে আসছেন। দুই দেশের মাঝে যে কয়টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে সিমান্ত তার অন্যতম। ভারতের কাছে বিক্রয়কৃত জমিতে আমাদের দেশের কৃষকেরা চাষ করতো। কিন্তু বর্তমানে সেটা বন্ধ রয়েছে, কারন বিক্রয়কৃত সীমান্তে বি.এস.এফ পাহাড়া বসিয়েছে। 
প্রিয় পাঠক, হয়তো ভাবছেন যে- "সিলেট যাক তাতে আমার কি?আমি থাকি ঢাকা/ চট্টগ্রাম/ খুলনা/ রাজশাহি তে", কিন্তু মনে রাখবেন, সীমান্ত দিয়ে কেবল বিক্রি শুরু হয়েছে, সুতরাং আপনার ঘরের দরজায় আসতে বেশি সময় নিবেনা। আর যাই হোক, দাদা দের দাবি বলেতো কথা, সেটা প্রধানমন্ত্রী কিভাবে উপেক্ষা করবেন বলুন??

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন