পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০১১

এডিসি হারুনের দম্ভোক্তি : লাঠি চুমো খাওয়ার জন্য নয়



বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর বুধবার প্রথম হামলাকারী দুই পুলিশ কর্মকর্তা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এডিসি হারুন অর রশিদ ও এসি বিপ্লব কুমার সরকারের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য প্রদান অব্যাহত রয়েছে। বেসরকারি চ্যানেল একুশে টিভিতে গতকাল প্রচারিত সাক্ষাত্কারে দেখা যায়, এডিসি হারুন বলছেন, পুলিশকে লাঠি দেয়া হয়েছে সেটাতে চুমো খাওয়ার জন্য নয়। তিনি বলেন, ধৈর্য তো আমরা ধরলাম, আমার ফোর্সকে কন্ট্রোলে রাখার। ফোর্সের হাতে লাঠিটা তো চুমো খাওয়ার জন্য দেয়নি। এটা দিয়েছে কন্ট্রোল করার জন্য।
উল্লেখ্য, প্রকাশ্যে লাঠিপেটা করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের মাথা ফাটিয়ে দেয়ার পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বুধবার এই পুলিশ কর্মকর্তা মানিক মিয়া এভিনিউতে জয়নুল আবদিন ফারুককে কিলঘুষি মেরে টেনেহিঁচড়ে তার হাতের ব্যান্ডেজ খুলে মাটিতে ফেলে দিয়ে তাকে বুটের আঘাত করছিলেন অন্য সহকর্মীদের নিয়ে।
টিভি ফুটেজে দেখা যায়, অন্য পুলিশ কর্মকর্তা এসি বিপ্লব কুমার সরকার বুধবার জয়নুল আবদিন ফারুককে বলছেন, আমরা অ্যাকশনে যাব। জবাবে ফারুক ‘যান না’, বলার সঙ্গে সঙ্গে বিপ্লব বলে ওঠেন ‘শুয়োরের বাচ্চা চড় মেরে তোর সব দাঁত ফেলে দেব’। তখন ফারুক আবার বলেন, দেখি ফেল। তর্কাতর্কি ও গালাগালির এ পর্যায়েই এডিসি হারুন ঝাঁপিয়ে পড়েন ফারুকের ওপর। সঙ্গে বিপ্লব ও আর ৮-৯ জন। তারা সবাই মিলে রাস্তায় ফেলে বুট ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুকের মাথা ফাটিয়ে গুরুতর জখম করেন।
সহকর্মী এমপিরা ফারুককে নিয়ে ন্যাম ভবনে এমপি হোস্টেলে যাওয়ার সময় পুলিশ সদস্যরা আবারও তাকে ধাওয়া করে লিফটের সামনে থেকে তাকে ধরে এনে দ্বিতীয়দফা অমানুষিক নির্যাতন করে মুমূর্ষু অবস্থায় গাড়িতে তুলে কিছুদূর নিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে তিনি মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলার পক্ষে সাফাই গেয়ে এসি বিপ্লব কুমার সরকার গতকাল একুশে টিভিকে বলেন, ‘আমি আমার ওপর অর্পিত রাষ্ট্রীয় ও সরকারি দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি।’
পুলিশের সাবেক আইজি এএসএম শাহজাহান গতকাল বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক নেতা বা যে কারও অবৈধ কোনো কর্মকাণ্ড পুলিশ আইনবহির্ভূতভাবে ঠেকাতে পারে না। কেউ ঢিল মারলে পুলিশ পাল্টা ঢিল মারতে পারে না। কেউ থু থু ছিটালে পুলিশ পাল্টা থু থু দিতে পারে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন