তনু তার স্বামীকে স্বপনকে ডেকে তুলে বললো- "আমার মনে হয় তোমার যাওয়া উচিত।"
স্বপন- কিন্তু বাইরে অনেক বৃষ্টি। রাস্তায় অনেক কাদা।
তনু- তোমার গত বছরের কাহিনী মনে নাই?
স্বপন- আছে মনে আছে। কিন্তু এই ব্যাটার গলা শুনে ত মনে হচ্ছে পুরা মাতাল।
তনু- তোমার গলা শুনে সেদিন কি অন্যরা মাতাল ভাবে নি?
গত বছর তনুর বাচ্চা হবে। রাতের বেলা হাসপাতালে নিয়ে যাবে। সেদিনও এমন বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তাঘাট ভেসে যাচ্ছিল। তাদের গাড়িটা আটকা পড়ে গিয়েছিল কাদায়। অনেকক্ষন ঠেলে ঢুলেও বব গাড়িটা গর্ত থেকে বের করতে পারছিল না। এদিকে বউয়ের বাচ্চা প্রসবের সময় হয়ে যাচ্ছে। বার বার বব ধাক্কা মারছিল। কিন্তু গাড়িটা বের করে আনতে পারছিল না। একসময় হতাশায় সে চিৎকার করে কাদা শুরু করেছিল । ধাক্কা দাও। কেউ একজন এসে ধাক্কা দাও। আশেপাশের বাসা থেকে দুইজন সহৃদয় মানুষ বের হয়ে এসেছিল। নিজেরা ভিজে, কাদায় মাখামাখি হয়ে গাড়িটা বের করে দিয়েছিল ধাক্কা মেরে। আর সেদিন রাতেই তাদের ফুটফুটে একটা মেয়ে হয়েছিল।
আজকে, বছরখানেক পর, আরেক বৃষ্টির দিনে এক মাতাল চিৎকার করে বলছে, ধাক্কা দাও। আমাকে ধাক্কা দাও।
স্বপন বের হয়ে আসল। রাস্তার পাশের লাইটগুলাও নিভে আছে কেন জানি। বেশ অন্ধকার। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। শুধু চিৎকার শোনা যাচ্ছে, ধাক্কা দাও।
স্বপন বলল, ভাই আপনি কই?
পলাশ- এদিকে আসেন।
স্বপন সামনে এগিয়ে যায়।
পলাশ- বাগানের ভিতর আসেন।
স্বপন বাগানে ঢুকে পড়ে। ভাই, আপনাকে দেখছি না তো।
পলাশ- ভাই, টবগুলার পাশে আসেন।
স্বপন টবের পাশে এসে দাঁড়ায়।
পলাশ- ভাই ,আপনার মত মানুষ হয় না। আসেন, একটু ধাক্কা দেন তো। অনেকক্ষন দোলনায় বসে আছি। এত ডাকছি। কেউ ধাক্কা দিতে আসে না।
ব্যাটা মিথ্যুক
জজ কোর্ট।
আসামীর কাঠগড়ায় আমাদের পলাশ মিয়া।
জজ সাহেব পলাশ মিয়ার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন।
জজ সাহেব - “ তুমি তোমার বউকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছো?“
পলাশ- "জ্বি হুজুর।"
দর্শকদের ভিতর থেকে মাটি ভাই চিৎকার করে বলল - "ব্যাটা মিথ্যুক।"
জজ সাহেব - “ তুমি তোমার কাজের ছেলেকেও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছো?”
পলাশ- "জ্বি হুজুর।"
দর্শকদের ভিতর থেকে মাটি ভাই আবারও চিৎকার করে বলল - "ব্যাটা মিথ্যুক।"
এইবার জজ সাহেব মাটি ভাইকে বললেন, “কেনো ওকে মিথ্যুক বলছেন আমি বুঝতে পারছি না। উনি পলাশ নিজে ওর অপরাধ স্বীকার করছে। হাইহোক, এটা কোর্টরুম। আর একবার আপনি এই রকম চিৎকার করলে আপনাকে বিচারে বাধা দেয়ার জন্য গ্রেফতার করা হবে। বুঝছেন?”
এইবার মাটি ভাই দাঁড়িয়ে বলল,- " আমি গত পনের বছর ধরে পলাম মিয়ার প্রতিবেশি। যতবারই আমি তার কাছে একটা হাতুড়ি ধারের জন্য গেছি, সে বলছে তার কাছে হাতুড়ি নাই!!!“
আমার চাবিটা একটু খুঁজে দাও
পলাশ মিয়ার বাড়ির সামনেই রাস্তার পাশে অল্প একটু যায়গায় ময়লা কাঁদামাটি আর নোংড়া পানিতে একাকার হয়ে আছে। তো সেদিন পলাশ মিয়ার ঘরের চাবিটি সেই কাঁদামাটির পানিতে পরে গলো। বাধ্য হয়ে পলাশ মিয়া সেই নোংড়া পানিতে নেমে অনেকক্ষণ সেই চাবিটি খুঁজেও না পেয়ে চিৎকার করে বলতে লাগলো - "হে ভগবান", "হে বুদ্ধ", "হে যীশু", "হে গুরু নানক" আমার চাবিটি একটু খুঁজে দাও, নয়তো ঘরে ঢুকতে পারবো না।
পলাশ মিয়ার চিৎকার শুনে পাশের দোকানদার বললো- কিরে পলাশ, তুই হিন্দুদের ভগবান, বৌদ্ধদের বুদ্ধ, খ্রীষ্টানদের যীশু, শিখদের গুরু নানক, সবাইকে ডাকলি। কিন্তু তোর নিজের ধর্মের "আল্লাহ-কে" ডাকলি না কেনো?
পলাশ মিয়া মুচকি হেসে বললো - আল্লাহকে দিয়ে কাঁদা ঘাটাতে চাই না।
বি.দ্র. : আমরা জানি যে "হে ভগবান", "হে বুদ্ধ", "হে যীশু", "হে গুরু নানক" এসে কাঁদায় নামবেন না, এটা সামান্য একটা কৌতুক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন