পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১১

ভারতের সেনাবাহিনী বাংলাদেশের মধ্যদিয়ে গোলা-বারুদ ও অস্ত্রের চালান চীন সীমান্তের অরুনাচল প্রদেশে নিয়ে যাবে


বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে বৃটিশ ম্যাগাজিন দ্য ইকোনমিস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার বিভাগের মহাপরিচালক মো. শামীম আহসান জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ইকোনমিস্টের সর্বশেষ সংখ্যায় "ইন্ডিয়া অ্যান্ড বাংলাদেশ : অ্যাম্ব্রেসবল ইউ" শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- গত ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয় লাভের জন্য বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ভারত নগদ অর্থের যোগান দিয়েছিল।
এ খবরের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, বৃটিশ ম্যাগাজিন দ্য ইকোনমিস্ট দেশ বিরোধী অপপ্রচারণা চালাচ্ছে এবং ঢাকা এর প্রতিবাদ করবে।
ইকোনমিস্টের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ভারতের অর্থ সহায়তা ও পরামর্শে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে প্রতিবেশি দেশটির সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেছেন- ইকোনমিস্টের এ প্রতিবেদনটি নিতান্তই লজ্জাজনক। এর আগেও ইকোনমিস্ট বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত প্রতিষ্ঠা নিয়ে ভিত্তিহীন প্রতিবেদন করেছিল। তিনি অভিযোগ করেন, ইকোনমিস্ট ওই প্রতিবেদন করেছিল বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার অপরাধযজ্ঞ সম্পর্কে সন্দিহান করে তোলার জন্য।
তিনি আরো বলেছেন, "আমার মনে হয় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারণা চলছে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত বাংলাদেশ সরকারকে খাটো করার জন্য ম্যাগাজিনটি চেষ্টা করছে।"
ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে ভারতকে ট্রানজিট দেয়া প্রসঙ্গটিও উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে- " নতুন ট্রানজিট প্রকল্পটি এখন উন্নয়নের চেয়েও আরো বেশি কিছু। সেনাবাহিনীর লোকজনসহ ঢাকার অনেকেই সন্দেহ করে এটা (ট্রানজিট) ভারতের জন্য একটি নিরাপত্তা করিডোর তৈরির জন্যই হচ্ছে। "এটা ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য রসদ সরবরাহের পথ খুলে দেবে। পাহাড়ি এলাকা পেরিয়ে গেরিলাদের হামলার শিকার না হয়ে বরং এখন ভারতের সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সমতল ভূমি দিয়ে সহজেই রসদ সরবরাহ করতে পারবে। ফলে, ভারত সহজেই নাগাল্যান্ড ও মনিপুরের গেরিলাদেরকে দমন করতে পারবে। সেনাবাহিনীর লোকজনের আশঙ্কা, এর ফলে বাংলাদেশে প্রতিহিংসামূলক তৎপরতা বেড়ে যেতে পারে।"
ইকোনমিস্টে আরো বলা হয়েছে- "সবচেয়ে বড় যে ব্যাপার তা হলো- ভারতের সেনাবাহিনী বাংলাদেশের মধ্যদিয়ে গোলা-বারুদ ও অস্ত্রের চালান চীন সীমান্তের অরুনাচল প্রদেশে নিয়ে যাবে। অথচ চীন অরুনাচল প্রদেশকে নিজের এলাকা মনে করে এবং যাকে দক্ষিণ তিব্বত বলে থাকে। অনেক বাংলাদেশী মনে করেন, যদি ভারত বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে সামরিক রসদের যোগান সেখানে নিতে পারে তাহলে চীনের পক্ষ থেকে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়া হবে।"
এ সম্পর্কে দীপু মনি বলেন, ট্রানজিট দেয়ার সময় নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করেই দেয়া হবে। পাশপাশি তিনি ইকোনমিস্ট প্রতিবেদকের ট্রানজিট সম্পর্কিত জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
http://www.economist.com/node/21524917

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন