বাংলাদেশী কূটনৈতিকের গাড়িতে ভারতের পতাকা! ও
নারী কেলেঙ্কারি র পরও নিমচন্দ্র ভাল তবিয়তে!
*কাঠমান্ডুতে ভারতের অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল জ্যাকবের সঙ্গে কয়েকটি বৈঠকে নিমচন্দ্র তার গাড়িতে ভারতের পতাকা তোলেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়তারপরও কোন ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
*২০১০ সালের ১৭ মার্চ কাঠমান্ডুর ইয়াক অ্যান্ড ইয়েতি হোটেলে মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে নিমচন্দ্রের নির্দেশে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত ও নেপালের জাতীয় সঙ্গীতও বাজানো হয়।
নারী কেলেঙ্কারি
নিমচন্দ্র ভৌমিকের অসংখ্য নারী কেলেঙ্কারির মধ্যে বলিউড তারকা মনীষা কৈরালার সঙ্গে দেখা করতে অকূটনীতিকসুলভ আচরণের কথাও তদন্ত প্রতিবেদনে এসেছে।
কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশি পাঁচ তরুণের একটি চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেছিলেন নেপালের প্রভাবশালী কৈরালা পরিবারের সদস্য মনীষা। অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর সন্ধ্যায় মনীষা দেখা পেতে তার বাড়িতেও ধরনা দিয়েছিলেন নিমচন্দ্র।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তদন্ত করে জেনেছে, মনীষার বাড়িতে ঢুকতে আধা ঘণ্টা ধরে ফটকে দাঁড়িয়ে দেনদরবার চালিয়েছিলেন নিমচন্দ্র। তবে ফটক খোলেনি।
২০০৯ সালে নিয়োগ পাওয়ার পর কাঠমান্ডুর ভারতীয় দূতাবাসের মুখপাত্র অপূর্ব শ্রীবাস্তবকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করেছিলেন বলেও তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এছাড়া বাংলাদেশি দূতাবাসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে নেপালের বেশ কয়েকজন নারীও রাষ্ট্রদূতের কাছে হয়রানির স্বীকার হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় বেশ কয়েকজন নারীকে দূতাবাসেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় দিচ্ছেন নিমচন্দ্র। রাষ্ট্রদূতের আচরণের মধ্য দিয়ে আত্মমর্যাদা বোধ বিসর্জন ও দায়িত্বনিষ্ঠার অভাব প্রকাশ পেয়েছে।
নিমচন্দ্রের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির সরাসরি অভিযোগ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তোলেন কাঠমান্ডু দূতাবাসের সাবেক ফার্স্ট সেক্রেটারি নাসরিন জাহান লিপি। ওই মাসেরই মধ্যভাগে চার বাংলাদেশি তরুণীকে জড়িয়ে দূতাবাসে নিমচন্দ্রের কেলেঙ্কারির তিনি প্রত্যক্ষ সাক্ষী বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন