পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০১১

ভৌতিক অভিজ্ঞতাসমূহ

শুক্রবারদিন অনেককেই দেখি ভূত এফএম শোনে। এই হিসেবে আমিও আজকাল শুনি। মানুষের ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসে নাকি ভূত এফএম শুনলে। আমার রাগে পিত্তি জ্বলে যায়। আমার মনেহয় বাংলাদেশে যত ধরনের চাপাবাজ আছে, সব ঐখানে গিয়ে চাপা মারে।

চাপাবাজির কিছু নমুনা বলি:

একটা ছেলে একদিন একটা ভৌতিক ঘটনা বলছিল। তার দেশের বাড়ি ঠাকুরগায়ে একটা খুন হওয়া লাশ পাওয়া গেল। সেই লাশটা আবার একদিনের পুরানো এবং গন্ধ বের হচ্ছিল। ঐ গ্রামে শুধু একটা পুলিশই বাস করতো। লাশের ময়না তদন্তের জন্য ঐ গ্রামেরই ঐ পুলিশটা একটা সাহসী ভ্যানওয়ালাকে দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দিলো। ঠাকুরগাও থেকে দিনাজপুরে যেতে আবার একদিনের মতো লাগে! ভ্যানওয়ালা রওয়ানা হওয়ার পরপরই ভৌতিক ঘটনাসমূহের সম্মুখীন হলো।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, 
.একটা খুন হওয়া লাশ মানে অনেক বড় ব্যাপার। যেমন তেমন এবং যে কেউ সেটা ছুঁতে পারে না। এরকম একটা লাশ কেন পুলিশ বেসরকারি একটা লোকের হাতে তুলে দিবে?
.একটা পচা লাশকে কেন পুলিশ আরো একদিন লাগে এমনভাবে পরিবহন করিয়ে ময়না তদন্তের জন্য পাঠাবে? লাশটাকে তো গাড়িতে নেয়ার কথা!
এই ভৌতিক ঘটনা শুনে ইচ্ছা করেছে থাপ্পড়টা মারি তার ঠিক কান বরাবর।

এই ঘটনা বলে শেষ করার পর আসলো দুইটা ডাক্তার। তারা স্বামী স্ত্রী। তারা যেসব ঘটনা বলছিল, সেসব শুনে মনে হচ্ছিল তারা সব জায়গাতেই ভূত দেখে। ভূত তাদের দরজা ধাক্কা দিয়ে ফান করে, তাদের বাচ্চাকে কাঁদায় ইত্যাদি।:)

.ঐ লোক অনেকদিন ধরে ছায়া দেখে এবং সে ছায়া দেখলেই তার বাচ্চাটা কাঁদে।
.ঐ ভদ্রমহিলা বলছিলেন যে একদিন সে তার বাবার বাড়িতে নিজের রুমে বসেছিলেন। ঠিক তখন দরজা ধাক্কা দিয়ে তার বোন তাকে ডাকাডাকি করলো। দরজা খুলে দেখলেন সেখানে কেউ নেই! বোনের রুমে গিয়ে দেখলেন বোন বাথরুমে গোসলরত!
আমার নিজের বাড়িতে মাঝেমাঝে আম্মু আব্বু কোনো কারণ ডাক দিলে শুনতে পাই না। আবার মাঝেমাঝে আম্মু আব্বু না ডাকলেও মনেহয় ডাকছে। এখন এটাকে যদি ভৌতিক ঘটনা বলে আখ্যায়িত করি তাহলে তো হয়েছেই! তো এদের ব্যাপারটা হচ্ছে এরকম। এরা একেবারে ভূত এফএমে চলে আসছে!:|

এই শুক্রবারে আবার এমন একটা গুলবাজ আসছিল যে আমি তাকে সামনে পেলে সত্যি সত্যি ধরে মারতাম আর বলতাম, তোর কি সারা দুনিয়ার মানুষকে বেকুব মনেহয়? X(
সেই গুলবাজ গুল মারছিল ভূত নাকি তার টিশার্ট পেইন্ট করে দিয়েছে এবং ভৌতিক সেই টিশার্টটা পরেই ঐদিন সে এফএমে সেসব কথা বলতে আসছে! 

দুইদিন আগে ইউনিতে হিস্ট্রির এক আপু সুইসাইড করেছেন। শুনলাম উনি যেই ব্লকে থাকতেন, সেই A ব্লকের সবাই ভয়ে ঐদিনই ব্লক থেকে চলে গেছেন। আমাদের ব্যাচেরই পাবলিক এডের একটা মেয়ের কথা শুনলাম যে সে যেই শুনেছে যে সুইসাইডের কথা, ওমনি সে ফিট পড়েছে এবং ৪/৫ ঘণ্টা পর তার চেতনা হয়েছে।

এসব লোকজনের এসব কান্ডকারখানা শুনে মনে হলো, একটা মানুষ মারা যাবার পরপরই যদি ফিট পড়ি বা ব্লক ছেড়ে পালাই তাহলে তো আকাশে বাতাসে নদীতে ভূত দেখবোই! 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন