বন ও বাঁদর মন্ত্রী ড.অচাম মাহমুদকে সম্প্রতি মানসিকভাবে অপ্রক্তিস্থ ঘোষণা করেছেন দেশের সেরা সাইকিয়াট্রিস্ট ড. মোহিত ধামাল। খবরে প্রকাশ, অচাম মাহমুদ দেশের তেল ও গ্যাস সমস্যা নিয়ে অত্যধিক দুশ্চিন্তা করায় তার মানসিক স্থিতি বিনষ্ট হয়। সময়ে অসময়ে তিনি আনু মুহম্মদ নামের এক ভদ্রলোককে স্বপ্নে দেখতে থাকেন এবং “যাহ, আনু পাগলা, যাহ” বলে মাছি তাড়ানোর ভঙ্গি করতে থাকেন। তার এই অস্বাভাবিক আচরণ আশেপাশের মানুষের চোখে পড়ে এবং তারা তাকে ড.মোহিত ধামালের কাছে নিয়ে যান। দরকারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মোহিত ধামাল তাকে ‘অপ্রক্তিস্থ’ ঘোষণা করেন। অচাম মাহমুদকে কোন আমেরিকান ডুঙ্গা দিয়েছে বলেও তাঁর ধারণা। ডুঙ্গার শক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই তেল-গ্যাস নিয়ে আনু মুহম্মদদের বাড়াবাড়ি। সব মিলিয়ে দারুণ প্রেশারে ছিলেন অচাম মাহমুদ। তবে, আমেরিকানরা কেনো ডুঙ্গা দেবার জন্য অচাম মাহমুদকেই বেছে নিলো, এ প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। সাধারণ জনতা অবশ্য এ ডুঙ্গা কাহিনীকে ভুয়া বলে উড়িয়ে দিয়েছে। অচাম মাহমুদের মত লোক আমেরিকানদের কাছ থেকে তেল-গ্যাসের বিনিময়ে নারী, গাড়ী ও বাড়ি খেতে পারেন বলেই তাদের বিশ্বাস। ডুঙ্গা খাবার মত নিচু স্তরে এখনো তিনি নামেননি বলে জনতার মতামত।
সম্প্রতি অপ্রক্তস্থ ঘোষিত ড. অচাম মাহমুদ
অচাম মাহমুদের এ বিয়োগাত্নক পরিণতির জন্য মাহমুদের স্বজনরা আনু মুহম্মদকে দায়ী করেন। আনু মুহম্মদ বলছেন ভিন্ন কথা। অচাম মাহমুদ নামে তিনি কাউকে পারসোন্যালী চেনেন না। তবে এ নামধারী এক ব্যক্তি তাকে “টোকাই’ অভিধায় অভিহিত করেছে—এমন একটা খবর তিনি পলাশীর আলু মারফত জেনেছেন। টোকাই হবার পর আপনার অনুভূতি কী- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন। বলেন,” এতোদিনে মানুষের মত মানুষ হতে পেরেছি বলে মনে হচ্ছে।”
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, অচাম মাহমুদকে দেখতে সরকারি মামাবাহিনীর একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল পাবনার উদ্দেশে যাত্রা করেছে। উড়ো খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নিজেও অচামকে দেখতে গিয়েছিলেন। অচাম এসময় প্রধানমন্ত্রীকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আবারো বলছি, এ খবরের সত্যতা নিয়ে এ রিপোর্টারের গভীর সন্দেহ আছে :পি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন